ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রার্থী বা পক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না। সব ধরনের উপঢৌকন বিলিবণ্টন, আপ্যায়ন, অর্থ সহযোগিতা কিংবা অনুরূপ কার্যক্রম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এসব কার্যক্রম নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ বলে বিবেচিত হবে।
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীরা ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২৬ আগস্ট থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পরিচয়ে হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা কার্যক্রম চালানো যাবে। তবে এ সময়ের মধ্যে সামাজিক, আর্থিক, সেবামূলক সহযোগিতা বা কার্যক্রম পরিচালনা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা প্রাঙ্গণে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ থাকবে। এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে এবং ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’–এর ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’ সহ আরও কয়েকটি চিহ্নিত অনলাইন পেজ অনতিবিলম্বে বন্ধ করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত তা বলবৎ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিচালিত বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ডাকসু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, বিধায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সংগঠনটির সব ধরনের কার্যক্রম ও শাটল সার্ভিস ক্যাম্পাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে যেসব প্রচারণামূলক বিলবোর্ড বা ব্যানার টানানো রয়েছে কিংবা ইতিমধ্যে টানানো হয়েছে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।