প্রার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

emon / ৪১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
ছবিতে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনা আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে। এতে প্রার্থীদের পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে হলগুলোয় প্রচার চালানো যাবে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, সাদা কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে। পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে কোনো প্রার্থী নিজের সাদাকালো ছবি ব্যতীত অন্য কারো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছ-পালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল-এর ক্ষতিসাধন করা যাবে না।

আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ছাত্র সংগঠন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো কালি বা চুন বা কেমিক্যাল দ্বারা দেয়াল বা যানবাহনে কোনো লিখন, মুদ্রণ, ছাপচিত্র বা চিত্রাঙ্কন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে নির্দেশনায়।

অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষ্যে ছাত্রী হলগুলোয় স্ব হলের অনাবাসিক এবং অন্য ছাত্রী হলের আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রী যারা প্রার্থী, তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। ২৬ আগস্ট হতে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্রী হলে প্রচারণা চালানো যাবে। আর ছাত্র হলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

 

প্রচারকাজ চালানোর নির্ধারিত দিনগুলোয় সামাজিক, আর্থিক ও সেবামূলক সহযোগিতা বা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যাবে না। জানা যায়, মূলত চারটি উপায়ে নিজেদের কথাগুলো ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে চান প্রার্থীরা। অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পোস্টার বা লিফলেট, ব্যানার এবং সশরীর হল পর্যায়ে ও একাডেমিক ভবনের সামনে প্রচারণা চালাতে চান তারা।

এ ছাড়া প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে বা হলে মাজলিশ-মাহফিল আয়োজন করা কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার চালানোর যাবে না। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে এবং এক্ষেত্রে ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’ ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হবে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিনেট হলে সকল ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, আজ মঙ্গলবার থেকে প্রার্থীরা নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। ভোট দেওয়ার সময় হলে কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ প্রদর্শন করে ভোট দেওয়া যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category