তিনশ শিক্ষার্থী অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় এখনো উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার সন্ধা ৭টা নাগাদ আন্দোরত শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক করেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। কিন্তু আলোচনায় কোন সমাধান না হওয়া অভিযোগে (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন তারা।
বৈঠক পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার আমাদেরকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ফলে আমাদেরকে দুই-তিনবছর এই সমস্যা নিয়েই কাটাতে হবে। তিনি এখানে প্রশাসনিক জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই প্রশাসনিক জটিলতা তারাই তৈরী করেছেন। স্যার আমাদের দাবি পূরণ করার কোন আশ্বাস দেননি।
তিনশ শিক্ষার্থী অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হলের সমস্যা একদিনের নয়। এটি দীর্ঘদিনে সমস্যা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন সে বিষয়ে অবগত। তবুও দীর্ঘদিন থেকে মৈত্রী হলের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের বরাতে জানা যায়, হলের একটি রিডিংরুম এবং ওয়াশরুমের জন্য স্থান দেখতে প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য। কিন্তু ২৩৪ জন শিক্ষার্থীদের সিট নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।
উল্লেখ্য, তিনশ শিক্ষার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া, আসন সংখ্যার সাথে সংগতি রেখে অ্যালাটমেন্ট এবং ৬ জনের বলশি শিক্ষার্থীকে এক কক্ষে বরাদ্দ না দেওয়ার দাবি নিয়ে আজ দুপুর ১ টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন করছেন কুয়েত-মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।