আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “১৫ আগস্ট, ১৩ নভেম্বর এবং ২১ আগস্টের খুনীদের হাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিরাপদ নয়। আমি একটা কথা বলতে চাই, এদেশের মাটির গভীরে আমাদের শেখর। এই মাটি ও দেশের বাইরে আমরা কখনো যাব না। এরকম কোনো দৃষ্টান্ত নেই। তারেক জিয়াই লন্ডনে বসে আছে। সাহস থাকলে দেশে এসে রাজপথে মোকাবিলা করুক।” মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্রী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “চার-পাঁচদিন ধরে দেখছি বিএনপি নরম হয়ে গেছে। আমার আজকে মনে হচ্ছে একদফার ও বেলা শেষ। দম ফুরিয়ে এসেছে, চোখে মুখে অন্ধকার। আমাদের পক্ষ থেকে একটা নিয়ম আছে। বিদেশে আমাদের প্রতিনিধিরা যাবে এবং তাদেরও আসবে। আমাদের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটা প্রতিনিধি দল ভারতে গেল। এতে বিএনপির চিন্তায় সারারাত চোখে ঘুম নেই। ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই।”
কাদের বলেন, “বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হবে বলে বাংলাদেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করে জিয়াউর রহমান এবং খুনিদেরকে বিদেশে পাঠিয়েছে। কে তাদেরকে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল? হত্যাকারীরা পুরষ্কার পেয়েছে। নিন্দা তারা পায়নি। কারণ, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তিনি খুনিদের পেছন থেকে প্রেরণা দিয়েছে। তিনি খুনীদের চাকুরী দিয়ে এবং বিদেশে পাঠিয়ে রক্ষা করেছেন।”
সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা এতে বক্তব্য রাখেন।