গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তার সহযোগীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে৷ হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল চারটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে আসলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তবে,হামলার ঘটন অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নুরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে।’
হামলায় আহতরা হলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি (একাংশ) নুরুল হক নুর, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের, সদস্য সাদ শিকদার, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্র অধিকারের সহসভাপতি মেহেদি, কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন, ঢাকা কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সহ সভাপতি রাকিব হোসেন, মহানগর দক্ষিনের সহ-সভাপতি মেহরাব মেহেদি, বাংলা কলেজের সাধারণ সম্পাদক আকাশ, দক্ষিণ মহানগরের কর্মী ইউসুফ, চকবাজার থানার সদস্য রায়হান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সহ অনেকেই।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে রাখে । ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা টিএসসি এলাকায় এলে টিএসসির জনতা ব্যাংক ও ডাচ সংলগ্ন রাস্তায় মোটরবাইক দিয়ে আটকে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা অনবরত হর্ন বাজাতে থাকে। সেখান থেকে কিছু নেতাকর্মী ছাত্র অধিকার পরিষদের জটলার সামনে গিয়ে ভুয়া, ভুয়া বলে সম্বোধন করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা পরিষদের নেতাকর্মীদের মারতে শুরু করে। মারতে মারতে তাদের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মেট্রো রেলের টিএসসি স্টেশন থেকে প্রায় দোয়েল চত্বর এলাকার দিকে নিয়ে যায়। মারধরকারীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা যায়।
এই বিষয়ে ছাত্র অধিকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসলে ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা আমাদের ওপর হামলা করে। যারা সবসময়ই হামলা করে থাকে তারাই আজও লাঠি, স্টিক, জিও পাইপ ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এই হামলা করেছে।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, কাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয় দখল নিবে এরকম কিছু ম্যাসেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছিল। কিছুদিন আগে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ অব্যাহতি নিয়েছিল। তাহলে এরা আবার কোন ছাত্র অধিকার পরিষদ? এরা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতেই এসেছিল। নুরুল হক নুরসহ আরো অনেকে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে আগে আক্রমণ করে। তারপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে৷