ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
আজ ২রা আগস্ট বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সাংবাদিকতা: বাংলাদেশ ও বাকি বিশ্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এটি উদযাপিত হয়।
এতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সাংবাদিকতায় এর প্রভাব এবং পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিগত সবগুলো বিপ্লব উৎপাদন এবং শিল্পকে কেন্দ্র করে হয়েছে। চতুর্থটিও তাই, কিন্তু এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য আছে। এটি আমাদের মনস্তাত্ত্বিক, শারীরিক ও জৈবিক সীমাকে ঝাপসা করে দেয়। সেকারণে এখানে যতবেশি মানুষের স্পর্শ থাকবে প্রযুক্তি তত বেশি সুষম এবং স্পষ্ট হবে। প্রযুক্তির অগ্রসরতার কারণে ‘ডেটা সাইন্স’ নামে একটি নতুন বিজ্ঞান আমাদের সামনে এসেছে। সুতরাং প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলে নয়, বরং এটিকে আত্মস্থ করতে হবে এবং মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতাও একটি বিজ্ঞান। তথ্য-উপাত্তকে এখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে উত্তীরণ হতে হয়। ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি বুভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, আমাদের বিভাগ ঐতিহ্যের সঙ্গে দীর্ঘ ৬১ বছর পার করছে। বিভাগের ঐতিহ্যকে আমাদের সমুন্নত রাখা দরকার। প্রযুক্তির নানাভাবে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন আমরা এর সাথে প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারকারী হতে পারছি কি না?
বিভাগ দিবসে তিনি বিভাগের প্রয়াত এবং অবসর সকল শিক্ষককে শ্রদ্ধা জানান।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, যুক্তরাস্টের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির চেয়ারপার্সন ড. মো. আবু নাসের, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন।