রাজধানীর গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশ’-এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের
বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে বাস টার্মিনালে। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের খাবারের উচ্ছিষ্ট ও ফেলে দেওয়া প্যাকেটে নোংরা হচ্ছে ক্যাম্পাস।
আজ (২৮ জুলাই) সকাল দশটার পর থেকেই শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে তিনটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস রিজার্ভ করে আসতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল, সূর্যসেন হল ক্যাফেটেরিয়া,কলাভবনের সামনে, মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এর সামনে সারি সারি বাস দাড় করে রাখা হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে পলাশী থেকে শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বরসহ আশে পাশের এলাকাগুলোতে। ফলে ক্যাম্পাস বর্তমানে অনেকটা বাস টার্মিনালের মতো রূপ নিয়েছে। রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি এসব বাসে আসা নেতাকর্মীরা খাবার খেয়ে খাবারের উচ্ছিষ্ট ও প্যাকেট যত্রতত্র ফেলতে দেখা গেছে। এতে নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, এইটা শুধু এবারের চিত্র না। এর আগেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের প্রোগ্রামেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলগুলোর পরিবেশ সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা নোংড়া করে ফেলে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা ফেলে পরিবেশ নোংড়া করে ফেলে এরা।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে দাড় করে রাখা হয়েছে শেরপুর থেকে আসা একটি বাস। বাসচালক মিজানুর রহমান বলেন, সকাল ১০ টায় এখানে এসে পৌঁছাই। তখন এই জায়গা ফাঁকা দেখে এখানেই বাস দাড় করাই রাখি। বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দাড় করিয়ে রাখায় কেউ বাধা দেয়নি৷ বাধা দিলে অন্য কোথাও রাখা লাগতো।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ”টিএসসি দিয়ে যাওয়ার সময় আমিও এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। সেজন্য আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স বক্সগুলো প্রস্তুত। সেখানে লোক নিয়োগ দেওয়ার পর বহিরাগত বাসগুলোকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিব না।”