ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় প্রক্টর অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী । তার নাম শাকিল আহমেদ শাওন। অভিযুক্ত ইমরান আহমেদ শুভ প্রক্টর অফিসের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্ত কর্মচারীকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শাকিল আহমেদ বলেন, “২৫ জুলাই রাত সাড়ে আটটার সময় এক জুনিয়রের সাথে কথা বলতে বলতে প্রক্টর অফিসের সামনে এসে দাড়াই। এই সময় শুভ আমার পরিচয় জানতে চায় ও আইডি কার্ড দেখতে চায়। তাকে আইডি কার্ড দেখাতে দেখাতে আমিও তার পরিচয় জানতে চাই যেহেতু সে প্রক্টরিয়াল টিমের পোষাক পরা ছিলোনা। তখন সে আমাকে তুই বলে সম্বোধন করে বলে আমার কার্ড নেইÑ তুই ছাত্রলীগের সাদ্দাম কে বলিস সেও আমাকে চিনবে। আমি তাকে এরকম আচরণ করতে নিষেধ করি। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন প্রক্টরিয়াল টিমের কয়েকজন বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসে ও আমাকে ধরে ফেলে। তারপর ও সে আমাক উপর্যুপরি কিল ঘুষি দিতে থাকে। আমার হাতে,ঘাড়ে এখনো প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে।”
ভুক্তভোগী আরো বলেন, “এই ঘটনার পর প্রক্টর স্যার এসে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমি পরদিন সকালে লিখিত অভিযোগ দেই। আমি চাই এই ছেলেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হোক। এই ছেলের শাস্তি যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে সবার জন্য।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুভ কে ফোন দিলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেয়।
এই বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, “ঘটনাটির পর পর আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। সে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বসে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই ছেলে আগে মোবাইল টিমের সাথে কাজ করতো। কিন্তু শারিরীক কিছু জটিলতার সে এখন অফিসেই কাজ করছে।”