মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, নিরবতা র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শামসুন নাহার হল নির্যাতন দিবস পালন করেছে ছাত্রলীগ। আজ ২৩ জুলাই, রবিবার জাতীয় শহীদ মিনার থেকে নিরবতা র্যালী করে শামসুন্নাহার হল গেটে আলোচনা সভায় অংশ নেয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভায় শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ ড. লাফিফা জামাল বলেন, “২০০২ সালে পুলিশ শুধু হলে প্রবেশই নয়, হলে প্রবেশ করে ছাত্রীদের নির্যাতন করা এবং এর জন্য শিক্ষার্থীদের হাজতে রাত্রীযাপন পর্যন্ত করতে হয়েছে। এর চেয়ে বড় ঘৃণ্য আর কিছু হতে পারে না। আমাদের শিক্ষার্থীরা থেমে থাকেনি। তারা আন্দোলন করেছে। আন্দোলনের কারণে তৎকালীন উপাচার্য এবং প্রক্টর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি কখনোই ঘুমিয়ে থাকেনি। তারা সুযোগ বুঝে আবারও আমাদের ছোবল মারতে পারে। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনে আমাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির প্রতি দাড়াতে হবে। শুধু নারী নেতৃত্বেই নন নেতৃত্বের যেকোন দিক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আছেন। একটা সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে এত নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছিল না। নারীরা সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরকম আর কোন ঘটনা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে না ঘটে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
আলোচনাসভায় ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, “২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর যে দখলদরিত্বের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে শামসুন্নাহার হলে। পূর্বের সরকার শামসুন নাহার হলে যে প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছিল তাকে সরানোর জন্য তারা নানাভাবে কার্যক্রম চালিয়েছিল। কিন্তু সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সমর্থন ছিল না। সেদিন শামসুন নাহার হল ছাত্রদলের নেত্রী এবং পুলিশ সহযোগে হামলা করে ২০০ সাধারণ শিক্ষার্থীকে আহত করেছিল। এরকম কোন ঘটনা বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি।
আমরা যে ঔপনিবেশিক পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের কথা বলি তা বিএনপি এবং জামাত পোষণ করে। বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের নারীদের কখনো সামনে এগোতে দেয়নি। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছে, সেখানে তারা ফতোয়া দেয় নারীর উচ্চশিক্ষা হারাম।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি হোসাইন সাদ্দাম, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই।