ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ১৭-১৮ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থীকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে৷ ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী ও হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রূপা। সে রোকেয়া হলের ৭ মার্চ ভবনের ১১২১ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। তবে এই বিষয়ে হল প্রশাসন কিছুই জানেনা বলে মন্তব্য করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আতিকা বিনতে হোসাইনের নির্দেশে হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন তার রুমে অবস্থান নেয় রাত ১১ টার সময়। এসময় তাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে রাত ১ টার সময় তাকে মারধর করে টেনে হিছড়ে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত আতিকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাকি অভিযুক্তরা– হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিহা মাহুব ঐশী, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়েশা আশরাফ অনামিকা, বিপর্ণা রায়।
সামিহা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী, অনামিকা ও বিপর্ণা রায় সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
এই বিষয়ে আতিকা বলেন, আমি কিছুই জানিনা। ছোট বোনদের এইসব ঝামেলায় নিজেকে আর জড়াতে ভালো লাগেনা।
অন্যান্য অভিযুক্তদের ফোনকলে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শয়ন বলেন, আমি এই বিষয়ে শুনেছি। ওদের সাথে কথা বলেছি। আগামীকাল ঝামেলার বিষয়টি দেখবো।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আপনারা এইসব খবর কোথায় শুনেন। আমাকে এখন পর্যন্ত কোন মেয়ে ফোন দিয়ে জানায়নি। এতরাতে এইসব আমি কিভাবে জানবো।