ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের রূপা নামে ১৭-১৮ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একই হলের কতিপয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। নির্যাতন শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও হসপিটাল নিয়ে যেতে হল প্রশাসন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ রূপার সহপাঠীদের। রূপা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।
জানা যায়, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনের নির্দেশে তার কতিপয় অনুসারী রূপাকে রুম থেকে নেমে যেতে বলে। এক পর্যায়ে রুম থেকে নেমে যেতে অস্বীকৃতি জানালে রূপাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। রাত তিনটায় মারধরের এক পর্যায়ে রূপা অসুস্থ হয়ে পড়ে ও বেশ কয়েকবার বমি করে। তবুও হল প্রশাসন রুপাকে হলের বাহিরে হসপিটালে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে রূপাকে আলাদা একটি রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করেছে তার সহপাঠীরা।
অভিযুক্ত আতিকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্য অভিযুক্তরা হলো– হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিহা মাহুব ঐশী, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়েশা আশরাফ অনামিকা ও বিপর্ণা রায়।
এই বিষয়ে জানতে রোকেয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.জিনাত হুদা কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি প্রভোস্ট কে কয়েকবার ফোন করে চিকিৎসার কথা বলেছি। কিন্তু উনি বলেছেন ভিতরে একজন ডাক্তার আছে।
এই বিষয়ে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, এই মেয়েটি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তার কোন খবরই পাচ্ছিনা। তাকে আলাদা একটি রুমে রাখা হয়েছে। ওই রুমের আশেপাশেও কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা৷ ভিতর থেকে মেয়েরা তার কোন খবর দিতে পারছেনা–বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে।