বিএনপির মহাসচিব যেভাবে জনসভায় একের পর এক মিথ্যার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই মির্জা আলমগীর ( মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) আর মির্জা আলমগীর নাই; মিথ্যা আলমগীর হয়ে গেছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত বিএনপি কর্তৃক সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর হামলার প্রতিবাদে ‘ছাত্রসমাজের প্রতিবাদ’ সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এমন মন্তব্য করেন।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজকে উন্নয়ন যখন আমাদের সুপ্রতিষ্ঠিত একটি বিষয়। শেখ হাসিনা আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছেন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছেন, আমাদের বাজেট বৃদ্ধি করেছেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন, জীবন বদলে দিয়েছেন; এগুলো তো পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমানিত। কিন্তু আপসোসের বিষয় বিএনপি তখন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ডে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাই, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনিরাপদ করে তুলছে, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে; যারা এই হুকুমের আসামী তাদেরকে গ্রেফতার করুন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিশ্চয়তা এবং ক্যাম্পাসগুলোতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
বিএনপির উদ্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই আপনারা আজকে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাধাতে চাচ্ছেন। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আপনাদের খেলা দেখছি আর মজা নিচ্ছি। আমরা দেখতে চাই কতদূর আপনারা খেলতে পারেন; তারপর বোঝাব, কত ধানে কত চাল। আপনাদের শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সামরিক স্বৈরশাসকের ফূর্তি থেকে জন্ম নেয়া ছাত্র সংগঠন নয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ স্বৈরশাসকের দেয়ালকে ভেদ করে আসা ছাত্র সংগঠন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ এমন একটি ছাত্র সংগঠন যারা পাকিস্তানের সেই শক্তিশালী বাহিনীকে জানান দিয়েছিল। আর বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ি করলে তোমার বাপকা নাম ভুলা দুংগা (তোমার বাপের নাম ভুলিয়ে দিবো)। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে কলম, বই-খাতা নিয়ে নির্বাচন করতে পারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঠিক সেভাবে বুলেট বেয়নেটের সামনে দাঁড়িয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছে; সুতরাং সাধু সাবধান।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমরা হাতে শিকল পড়ে রইনি; আমাদের হাত খোলা। আমাদের ধৈর্য রয়েছে। আমরা দেখেছি কিভাবে আমাদের নিরস্ত্র ভাইদের উপর হামলা করা হয়েছে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুমকে ধ্বংস করা হয়েছে; লাইব্রেরিতে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা চুপ আছি তার মানে এই নয় যে বারবার আমাদের ওপর আঘাত করবেন। আর একবার যদি বাংলাদেশের কোন শিক্ষার্থীর ওপর আঘাত করা হয় আমরা বাংলাদেশের ছাত্রলীগের যারা কর্মী রয়েছি বাড়ির ইট খুলে নিয়ে আসবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, নির্বাচন যখন কাছে চলে আসে। তখন আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে ভয়ভীতির সৃষ্টি হয়।আমাদের শিক্ষার্থীরা ভয় পায়। আবার সেই অগ্নি সন্ত্রাস হয় কিনা। আমরা আবার ভয় পাচ্ছি, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবার লাশের রাজনীতি হয় কিনা। আমাদের ছাত্রলীগের ভাইয়েরা এদেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এদেশের মানুষের জন্য ঝড়-বৃষ্টি, আধার রাতে কাজ করতে পারি। আমরা ছাত্রলীগের ভাইদের কাছে আহবান জানাব আমাদের সামনের দিনগুলোতে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।