ছাত্রলীগের রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম কমিটি এবং আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের কমিটিতে পদবঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ আব্দুল্লাহ। বর্তমানে তিনি বিশ্ব বিখ্যাত টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি করছেন।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতদের উৎসাহিত করেছেন তিনি। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘আমাকে যেদিন (একবার না, রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ভাই গোলাম রাব্বানী ভাই করেছিলেন একবার, আর আল নাহিয়ান খান জয় ভাই লেখক দাদা করেছেন আরো একবার) রাজনৈতিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছিলো সেইদিনের কষ্টটা ভুলার নয়, এখোনো ভুলি নাই, ভুলা যাবে না সারা জীবনেও। আপনারাও ভুলতে পারবেন না, স্বাভাবিক।
আমি কিন্তু এরপর থেকে নিজেকে আর বঞ্চিত করিনি। ছাত্রলীগ আমাকে পদায়ন করলে আমার কতটুকু মেধা আর ক্রিয়েটিভিটি এ্যাড করতে পারতো তাদের টিমে সেটা আপনারা অনেকেই জানেন, আর আমিও জানি/জানতাম কারন আমি কখোনই আমার নিজেকে সন্দেহ করিনি। ছাত্রলীগ আমাকে মূল্যায়ন করে নাই তার মানেই আমি মূল্যহীন? অসম্ভব, কোনোভাবেই না।
ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পরে বিয়ে করেছি, আমেরিকায় এসে এখন পর্যন্ত যাকিছু সম্ভব তার অনেক কিছুই অর্জন করেছি, আরো চলমান।
ইউনিভার্সিটির ফান্ডের টাকায় একটা মাস্টার্স ডিগ্রীও (MS in Business Analytcs & Insights) নেয়া প্রায় শেষ।
Amazon.com এর মতো প্রতিষ্ঠানে জব করছি।ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
রাজনীতি করবেন কি করবেন না সেটা একান্তই আপনার বিষয় কিন্তু এই পদ পাওয়াই জীবনের সব, এমনটা না ভেবে নিজেকে এবার সময় দিন। সেটা হতে পারে আবারো রাজনীতি, বা পড়ালেখা, বা ব্যবসায়, বা অন্যকিছুতে। নিজেকে তুচ্ছ না ভেবে কাজে লেগে পড়ুন। দিন শেষে পরিবার আর আপনি নিজে এছাড়া আর কেউ থাকবে না।
মনে রাখবেন “রাজনীতির মাঠে কেউ আপন না, যদি আপনি নিজেকে আপন না করতে পারেন”
সাদ্দাম হোসেন ভাই ও শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাইকে ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।’