রোয়াংছড়িতে বম জনগোষ্ঠীর উপর হামলা ও হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচারের দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট এক সমাবেশ আয়োজন করেছে। গতকাল (শুক্রবার) জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পাহাড়ে কায়েমকৃত সেনাশাসনই এখন পাহাড়ি জনগণের নিরাপত্তা ও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের জনগণের উপর অব্যাহত আক্রমণ-নির্যাতন এই রাষ্ট্রের দমনমূলক চরিত্রের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। এই দমননীতি সম্পূর্ণরূপে অনায্য ও অসাংবিধানিক। রোয়াংছড়িতে হত্যাকন্ডের শিকার এই ১১ জন মানুষ প্রথম ও শেষ ঘটনা নয়। পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় এধরণের হত্যাকান্ড, নির্যাতনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। একই দেশে দ্বৈতশাষনের শিকার পাহাড়ের জনগণ। জাতিগত বৈচিত্র্যকে ধারণে অক্ষমতার পরিচয় দিয়ে মুজিব সরকার আদিবাসী-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতি অবহেলা ও নিগ্রহের যে ভিত্তি গড়ে তুলেছিলো পরবর্তীতে সকল সরকার তার উপর দাঁড়িয়ে একই কায়দায় এই অবহেলা-নিগ্রহ-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি রাষ্ট্র। সরাসরি রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা কায়েম করেছে সন্ত্রাসের রাজত্ব।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। একই সাথে পাহাড়-সমতলের সমস্ত জনগণকে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম জোরাদার করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামার আহবান করা হয় সমাবেশ থেকে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’র সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’র সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর নেতা তামজিদ হায়দার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।