ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মাসব্যাপী বিনামূল্যে ইফতার কর্মসূচি আয়োজন করেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। আজ সে ইফতারের ২৭তম দিন পূর্ণ হয়েছে। আগামী দুইদিনও একইভাবে শিক্ষার্থীদের ইফতার করাবে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে ছাত্রলীগের ইফতার আয়োজনের টানা একমাস হচ্ছে।
প্রত্যেকদিন প্রায় ৩০০ মানুষের জন্য ইফতারের এই আয়োজন করা হয়। এই ইফতার আয়োজনে প্রত্যেকদিনের খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা। বিনামূল্যে ইফতার কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) মধুর ক্যান্টিনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ এই বিনামূল্যে ইফতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে।
এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে হাজী মুহম্মদ মহসিন হল ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বেগতির কারণে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন ইফতার করতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রত্যেকদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষরা মধুতে এসে তৃপ্তি করে ইফতার করতে পারছে।
তিনি বলেন, দেশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে মধুর ক্যান্টিনে সকল বয়সী মানুষের একসাথে ইফতার করাটা ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ছাত্রসমাজের নিরন্তর ত্যাগী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। সুযোগ পেলে দেশের মানুষের জন্য সারাজীবন নিজেদেরকে এভাবেই আমাদের অফুরান ভালবাসার সেবায় নিয়োজিত রাখব।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এবং ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সর্ব সাধারণের জন্য সবসময় কাজ করার চেষ্টা করেছি, চেষ্টা করেছি সবার সুখে-দুঃখে থাকার। তারই অংশ হিসেবে এ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন।
এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত করোনা মহামারীতে একশত একুশ দিন ব্যাপী টিএসসিতে ভাসমান ছিন্নমূল পথশিশু ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য মহামারীকালীন দুইবেলা খাবারের ব্যবস্হা করে। এর স্বীকৃতি স্বরুপ জাতিসংঘ তানভীর হাসান সৈকতকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়৷
এছাড়াও তানভীর হাসান সৈকত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট সংলগ্ন পুরাতন ময়লার ভাগাড়কে নান্দনিক একটি লাইব্রেরিতে (উন্মুক্ত লাইব্রেরি) প্রতিষ্ঠা করেও ভুয়ষী প্রশংসিত হন। স্থানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার অজস্র বইপ্রেমীদের প্রাণেরমেলায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে।