• শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
রবি রশ্মির উদ্যোগে ‘এসো শ্যামল সুন্দর’ শীর্ষক সংগীতানুষ্ঠান ঢাবি উত্তরবঙ্গ চাকরিজীবী কল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ঢাবিতে আনঃহল দাবা ও ক্যারাম প্রতিযোগিতার উদ্বোধন বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: ঢাবি ভিসি ঢাবির শহীদুল্লাহ হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মাথা ঘুরে পড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু বম জনগোষ্ঠীর উপর হামলা, বিচারের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আমাদের শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে:সৈকত ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকানো গিয়েছে :ঢাবি ভিসি

রমজানের কারণে ফান্ড সংগ্রহ কমেছে

dunews
প্রকাশ: রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। ২০১৮ সালে এটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারির সামনে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন চলছে। সেখানে ক্রেতার আশায় বসে আছেন আয়োজকদের কেউ কেউ। আবার কেউ আঁকছেন ছবি, কেউ বানাচ্ছেন মুখোশ।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফান্ড রেইজিংয়ের ওপর নির্ভর করে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেন তারা। প্রতি বছর ফান্ড রেইজিং ভালো হলেও রমজানের কারণে এবার তেমন বিক্রি নেই বললেই চলে। তাই এবার আয়োজন কিছুটা সংক্ষিপ্ত করার কথা ভাবছেন তারা। তবে প্রাথমিকভাবে যতটা সংক্ষিপ্ত হবে বলে ভেবেছেন ঠিক ততটা সংক্ষিপ্ত হবে না এমনটাও প্রত্যাশা তাদের।

ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিয়া তাবাসসুম গোধুলি বলেন, আমাদের বৈশাখের আয়োজন হয় শিল্পীদের শিল্পকর্ম থেকে ফান্ড রেইজিংয়ের অর্থ দিয়ে। প্রতি বছর প্রায় মাসব্যাপী চলে আমাদের ফান্ড রেইজিং। এবার রফিকুন্নবী স্যার ছবি আঁকার মাধ্যমে গত ১৯ মার্চ এই ফান্ড রেইজিংয়ের উদ্বোধন করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আয়োজনের পরিসর নির্ভর করে আমাদের ফান্ড রেইজিংয়ের ওপর। রমজানের কারণে আমাদের ফান্ড রেইজিংয়ে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিক্রি তেমন নেই বললেই চলে। আমরা যতটুকু আশা করেছিলাম, সে অনুযায়ী বিক্রি নেই। ফান্ড রেইজিংয়ের ওপর নির্ভর করে আমাদের আয়োজন করা হবে।

নববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন বলেন, আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’। প্রতি বছর আমরা বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করি। বর্তমানে মানুষে মাঝে হানাহানি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেটি চরম মাত্রায় পৌঁছে এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও চরম ধস নেমেছে। তাই আমাদের এবারের কামনা পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক। সেজন্যই এই প্রতিপাদ্য।

রমজানের কারণে ফান্ড রেইজিংয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রমজানের কারণে আমাদের যেই ফান্ড রেইজিং, অর্থাৎ আমরা যাদের কাছে আমাদের শিল্পকর্ম বিক্রি করি তারা কম আসেন। অনেকেই ওমরা করেন, আবার অনেকেই বিকালে অফিস শেষে বাসায় ফেরেন। এদিকে তেমন কেউ আসেন না। তাই আমরা এবার কিছুটা সংক্ষিপ্ত করেছি। তবে যতটা সংক্ষিপ্ত হবে ভেবেছিলাম, ঠিক ততোটা সংক্ষিপ্ত না। মোটামুটি মানের আয়োজন হচ্ছে। আয়োজন সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে, খরচে হিসেবেও তাদের কাছে থাকে। আয়োজন শেষে তারা একটা হিসাব দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর