ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও সেন্টার ফর জেনাসাইড স্টাডিজ এর পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি একেবারেই ক্ষমার অযোগ্য বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তার লেখা ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড : স্টেট ভার্সেস পারসন’ (২০০৯) বইয়ে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যা নিয়ে অসত্য, বিকৃত ও উদ্ভট তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রলীগ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ৬ এপ্রিল বিকেলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্মারকলিপিতে অধ্যাপক ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে তা প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ।স্মারকলিপিতে বলা হয়, ড. ইমতিয়াজ জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রাম, ৭ই মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত একাত্তরের গণহত্যা ইত্যাদি নিয়ে বেশ কিছু মিথ্যা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত জাতীয় ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো মন্তব্য করেছেন যা একেবারেই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। যেমন, একাত্তরের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক বক্তৃতার সমাপ্তিতে বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’র সাথে জয় পাকিস্তান বলেছেন বলে দাবি করেছেন ড. ইমতিয়াজ। এ ছাড়াও তখনকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অধিবাসীদের মধ্যে বিয়ে হতো, দুই অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনেক মিল ছিল, উর্দুর সঙ্গে বাংলাও পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা ছিল, দুই অংশের অধিবাসীদের মধ্যে নৃতাত্ত্বিকও অনেক মিল ছিল এধরনের উদ্ভট দাবিও তিনি তার বইয়ে করেছেন; কখনো নিজের বরাতে, কখনো অন্যের মুখে শুনেছেন দাবি করে লিখেছেন।
এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অধ্যাপক ইমতিয়াজের বইয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে যে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আমরা উপাচার্যকে তদন্ত শেষ করার আহ্বান জানিয়েছি। উপাচার্য ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।