বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড শুধু ব্যক্তির হত্যাকান্ড নয়, তারা এই আদর্শটাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধূরী মিলনায়তনে মোশতাক ও জিয়া সরকারের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই তাদের ক্ষমতা দখলের যে উদ্দেশ্য, তা পূরণ হত। কিন্তু তার স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউকে তারা কেন হত্যা করেছিল? কারণ খুনিরা বুঝেছিল, শেখ মুজিবের রক্তের ছিঁটেফোটাও যদি থাকে, তাহলে বাংলার মানুষ তাকে ঘিরেই আবার ঘুরে দাড়াবে।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী জিয়াউর রহমান সরকার নিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান তার মন্ত্রীসভায় কোন মুক্তিযোদ্ধাকে রাখেননি। আওয়ামীলীগের বাইরেও অনেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। বরং দেশের বাছাবাছা কুখ্যাত দেশবিরোধীদের নিয়ে তিনি মন্ত্রীসভা গঠন করেন। এর থেকেই বোঝা যায় তিনি মুল্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখানেই দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। জিয়াউর রহমান আমাদের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তাকে তো দেশ বিরোধী বলা যায় না। এখানেই আসল রহস্য। তিনি পাকিস্তানি গেয়েন্দা সংস্থার চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন এবং অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল তখন সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত সরকারের অধীনে যুদ্ধ করার বিরুদ্ধে মত দেন৷ তিনি ‘ওয়ার কাউন্সিল’ করে মুক্তিযুদ্ধ করার কথা বলেন।
এছাড়াও, বঙ্গবন্ধু হত্যায় মদদদাতাদের শাস্তির আওতায় আনতে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনসহ আরো অনেকেই।