সারাদেশে শিক্ষাঙ্গনে হামলা-নির্যাতন, সন্ত্রাস, সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়। এ সময় শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচী শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র নিপীড়ন, হেনস্তা সব ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক বেশ বাজেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আজকে ছাত্রলীগ সমাবেশ করেছে অথচ ইদানীং যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোতেই ছাত্রলীগের জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছে। তাই আজকে তাদের এওয়ারনেসের জন্য ক্যাম্পেইন হওয়ার কথা ছিলো না বরং অ্যাকশনের ক্যাম্পেইন হওয়া দরকার ছিলো। যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে শিক্ষার্থী সচেতন, আপনাদের দলের যারা নির্যাতন ও নারী হেনস্তা করছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান। আইনের আওতায় নিয়ে আসেন। আপনারা নিজেদের প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা না গেলে তাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা মেধা-মননকে শ্রদ্ধা না করে তোমাদেরকে গোলাম করে রাখছে তাদেরকে ভয় না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলো যদি তা না পারো তাহলে মনের ঘৃণা প্রকাশ করো এটাই তাদের জন্য বড় হুশিয়ারি হবে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আপনাদের আওয়াজকে জাগ্রত করুন। প্রশাসনের প্রতি আবেদন হচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, সারা দেশে ছাত্রলীগের নির্যাতন চলমান রয়েছে অথচ তারা নির্যাতন বিরোধী ক্যাম্পেইন করছে। আপনারা অবগত আছেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি অনুষ্ঠানে টিএসসির জনতা ব্যাংকের গেটে আমাদের নেতাকর্মীর উপর কিভাবে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। আমরা সেই হালমাকারী সবাইকে শনাক্ত করেছি। বিশ্ববিদ্যালের প্রক্টর কে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান চর্চার জায়গা। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবে মুক্তবুদ্ধি চর্চার জায়গা। সবাই সবার ইচ্ছে মত রাজনৈতিক মত চর্চা করতে পারবে। আমাদের সবাইকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের পথ রুখে দিতে হবে।