আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) আবারো রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য দৃশ্যমান হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে। রবীন্দ্র ভাস্করর্যের খন্ড-বিখন্ড বিভিন্ন অংশ জোড়াতালি দিয়ে নতুন রূপে স্থাপন করা হয়েছে এই ভাস্কর্য। তবে এবার রবীন্দ্রনাথের মাথা বাম দিকে ঝুকে থাকতে দেখা গিয়েছে।
আয়োজকরা এবার রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যের পাশে দুটি ব্যানার টাঙিয়েছেন। ব্যানার দুটির একটিতে লেখা আছে, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সব ধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ কর’, আরেকটিতে লেখা আছে ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দেশে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আয়োজকদের একজন শিমুল কুম্ভকার বলেন , ‘গুম হয়ে যাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যের মাথাসহ কিছু অংশ গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে উদ্ধার করি। এরপর আজ সেগুলো এক করে আবার ভাস্কর্য বসিয়েছি। প্রক্টর আমাদের বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ পূজনীয় ব্যক্তি। এভাবে তার ভাস্কর্য স্থাপন অপসংস্কৃতি। এজন্য আমার ব্যানারে লিখেছি ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি।’
মাথা বাম দিকে ঝুকে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাইতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে ‘গুম’ হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুনরুদ্ধার হওয়া রবীন্দ্রনাথ এখন খণ্ড-বিখণ্ড। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজের প্রতিবাদ হিসেবে রবীন্দ্রনাথের মাথা কাত করে রাখা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, একটি ভাস্কর্যের সামনে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মান একটি অপসংস্কৃতি। আমি এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। এমন অপসংস্কৃতির চর্চা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারেনা।