শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমকে ধূলিসাৎ করে দেওয়ার জন্য সবধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু মজার ব্যপার হলো কেউ পড়ে দেখেননি।… যারা কদর্য ভাষায় আমাকে, আমার শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের হুমকি দিচ্ছেন, তারাও পড়েছেন বলে মনে হয় না। কোন একটা জায়গা থেকে কল্পিত জিনিস ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদের (জাশিপ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিপু মনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য শেষে তিনি জাশিপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানান সমালোচনা, মন্তব্য ও অভিযোগ নিয়ে বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্ল্যাহ মিলনায়তনে কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার আগের অবস্থায় পরিবর্তন ও রুপান্তর হয়েছে। একটা সময় মুখস্থ নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা ছিল। কিন্তু নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা শ্রেণিকক্ষের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমার শিক্ষার্থীরা যদি ভাবতে শিখে, চিন্তা করতে শেখে, ভালো-মন্দের তফাৎ নিরুপণ করতে শেখে, যোগাযোগ স্থাপন করতে শেখে, তাহলে যারা বিভ্রান্তি ছড়ায় তারা আর মগজ ধোলাই করতে পারবে না। সে নিজে মানুষ হয়ে উঠবে।
নতুন বইয়ের সম্পর্কে তিনি বলেন, ভুল থাকতে পারে, আমরা শুরুতেই বলেছি এটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ। গত বছর প্রকৃতার্থে অনেক সংকট ছিল। কাগজের সংকট, কালির সংকট, বিদ্যুতেরও কিছুটা সংকট ছিল। আমরা বলেছি, ২০২৩ সাল পুরো বছর আমরা মানুষের মতামত নেব। শিক্ষক, অভিভাবকসহ যে কেউ তাদের মতামত দিতে পারেন। যা কিছু যৌক্তিক হবে, তা আমরা গ্রহণ করবো।
নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,”আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি বিশাল অংশ রয়েছে। পৃথিবীকে দেওয়ার মতো অনেক কিছু আমাদের রয়েছে।”
সমাজে গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং ব্যবসায়, কারিগরি ও বিজ্ঞানমুখী আধুনিক শিক্ষার সম্মেলনে জীবনমুখী, কর্মমুখী ও মানবিক গুনাবলি সঞ্চারক শিক্ষা চালুসহ ১১টি উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে গত ৩ নভেম্বর অনানুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাশিপ।
এদিন বেলা ৩টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ‘জাশিপ: মানবসম্পদ উন্নয়ন ও উৎকর্ষের রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাশিপের এক্সিকিউটিভ এন্ড গভর্নিং কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ড. হাসনান আহমেদের প্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর শিক্ষা বিষয়ক তিনটি ‘প্যানেল আলোচনা’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখকসহ অনেকেই তাদের মত ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাশিপের এক্সকিউটিভ এন্ড গভর্নিং কাউন্সিলের ড. হাসনান আহমেদ, সেক্রেটারি জেনারেল নজরুল ইসলাম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা সহ আরও অনেকেই