• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
‘ঢাবিতে তারণ্যের ভোট-ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ছাত্রদল নেতাদের সন্ধান চায় ঢাবি ছাত্রদল আলোচনায় হয়নি সমাধান, এখনো অবস্থানে শিক্ষার্থীরা তিনদফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে নারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান বৃত্তি পেয়েছে ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী ঢাবি মৈত্রী হল থেকে তিনশ শিক্ষার্থী স্থানান্তরের দাবি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না—শিক্ষামন্ত্রী ডুজার ৬ সাংবাদিক পেলেন বর্ষসেরা রিপোর্টার পুরষ্কার ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাজ করছে রাজধানীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ‘ভলেন্টিয়ার অব শেখ তাপস’ এইচএইসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলন, আটক ৭

ভিন দেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ঢাবির তুলনা কতটুকু যৌক্তিক?

dunews
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩
অপরাজেয় বাংলা
অপরাজেয় বাংলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সবচেয়ে গৌরবের বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি জাতিগঠন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্মই হয় একটি রাজনৈতিক কারণে।

 

বঙ্গভঙ্গের পর ব্রিটিশ শাসকরা বঙ্গভঙ্গকে রদ করতে বাধ্য হয়। বঙ্গভঙ্গ রদের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব বাংলার জনমানুষের অসন্তোষ স্তিমিত করতে প্রতিষ্ঠা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। পরবর্তীতে এখানে গড়ে উঠে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পটভূমি রচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক। পরবর্তীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের হাত ধরেই স্বাধীনতা অর্জনের পথ দৃঢ় হয়।

 

বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এবং বিশ্ব বাজারের র‌্যাংকিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গণমাধ্যমে তিরস্কার সূচক কলাম লেখা হয়েছে, সুধীজন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন, সমালোচনা করেছেন এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে নেটিজেনরা গালাগাল দিয়েছেন।

 

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ ভাবিয়াও দেখে নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের কথা আমলে নিয়ে কেউ বিশ্লেষণও করে নাই। সবাই গড়পড়তা একই কথা বুলবুলির মতো আউড়ায়ে গিয়েছেন। সেটি হলো- র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে কেন ঢাবি?

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভিন্ন রাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনা হবে কিভাবে? যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব দর্শন আছে, নিজস্ব ইতিহাস আছে, নিজস্ব ঐতিহ্য আছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের, কারিকুলামের ধরণ হবে নিজস্ব দর্শন অনুযায়ী, নিজস্ব নীতি অনুযায়ী, নিজস্ব প্রথা অনুযায়ী। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ভর্তি পর্যন্ত নিজস্ব নিয়মের আওতায় চলবে। তা না করে বিশ্ববিদ্যালয়টি চিন্তা-আইডিয়া ধার করে চলা শুরু করেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ শুরু করেছে।

 

ভিন্ন দেশের নাম দিয়া জিঞ্জিরায় যেমন প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন করা হয়, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা ধার কইরা এখান থেকে জ্ঞান উৎপাদনের চেষ্টা করিতেছে। এসবের মান কেমন হবে এখন ভাবাই দায় হয়ে উঠেছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনার পাশাপাশি, নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি ভিন দেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলনার চিন্তা বর্জন করতে হবে, আর চিন্তায় রাখতে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দর্শন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর