বিএনপিকে জনগণ ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের অগ্নি-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মঞ্চের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে সারা পৃথিবীর কোথাও কোন ধরণের সমালোচনা হয়নি। তাদের অপকর্মের কারণেই তারা আসন হারিয়েছে।জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।বিএনপি একটি প্রত্যাখ্যাত দল। তারা জানে জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় বসাবেন। সেজন্যই তারা বিদেশি প্রভুদের কাছে যায়। বিদেশি প্রভুদের ইঙ্গিতেই তারা অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ২০০১ সালের গ্রেনেড বোমা হামলার মাধ্যমে বিএনপি ১৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু পারেনি। তারা শেখ হাসিনার উপর দোষ চাপিয়ে বলেছে, শেখ হাসিনা নাকি ব্যাগে করে গ্রেনেড এনেছে। শেখ হাসিনা নাকি নাটক করেছে। অথচ আজকে সত্যটা হলো বিনপি পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড এনে সেই গ্রেনেড খুনিদের সরবরাহ করেছে । তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে পরিকল্পনা করেছে। বিএনপি এভাবেই খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুপ্রিম কোর্টের অবসর প্রাপ্ত বিচারক; বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরাই খুনি জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলে। পাকিস্তান ভাঙ্গনে যাদের রক্তক্ষরণ হয়েছে তারাই খুনি জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে একজন অনুপ্রবেশকারী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে জয় বাংলা স্লোগানকে ধারণ করে এই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন, সামাজিক শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে জনগণ। কিন্তু সেই রক্তঝরা দিনগুলোতে আমাদের দেশের ই কিছু কুলাঙ্গার পাকিস্তানিদের চর হিসেবে কাজ করেছে। এখন তারাই হলো বিএনপি জামাতের অগ্নি সন্ত্রাসীরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।