আজকে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশের রুপরেখার কথা বলছি, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিভূমি হলো কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধু কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন, যাতে এই দেশের ছেলে-মেয়েরা বিজ্ঞানমনস্ক হয় এবং উন্নত চিন্তার অধিকারী হয়।
জাতির পিতাকে হত্যা করা না হলে সব মিথ্যাচারকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি দেশকে অনেক আগেই উন্নত করে ফেলতেন। তার অসমাপ্ত কাজ করছেন শেখ হাসিনা। আমরা তার পরিকল্পনার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছি। কেউ কি ভেবেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ রকমের ওষুধ পাওয়া যাবে? এসব পরিকল্পনা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময় ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন আজকে সত্যি হয়েছে। আজকে পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায়। পাকিস্তানিরা বলেন, সুইজারল্যান্ড নয় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনীতিতে কিছু কবিরাজ আছে। তাদের কিছু বিদেশি ডিগ্রি আছে, যার জোরে তারা নিদান হাঁকেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়নি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রধান দিক হলো সততা, মহানুভবতা, দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তিনটি বইয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক আত্মজীবনী জানতে পারছি। সেগুলো হলো অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন। এই বইগুলো যদি আমাদের ছেলে মেয়েরা পাঠ করে, তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি, বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন জানতে পারবে। এই তিনটি গ্রন্থ আমাদের সকলের অবশ্য পাঠ। এমন আত্মজীবনী পৃথিবীতে খুব কমই রয়েছে।
আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্বিপ্লব বড়ুয়াও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।