ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন জলছাপের (জলঢাকা ছাত্র পরিষদ) বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে প্রাঙ্গণের বটতলা চত্বরে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মাহফুজুল হক লেলিন। এছাড়াও জলছাপের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মীরগঞ্জ হাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জলঢাকা রাবেয়া চৌধুরি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মহন্ত, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ফারুক শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে স্বপ্নের তীর্থভুমি। সেই তীর্থে আমাদের উত্তর বাংলার পিছিয়ে পড় অঞ্চল জলঢাকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে, আমরা তাদের সাথে ভাব বিনিময় করার সুযোগ পেয়েছি; নিশ্চয়ই এটা একটা স্মরণীয় সন্ধ্যা। আমার জীবন সাহাহ্নে এ কথা অনেকদিন মনে থাকবে।
তিনি বলেন, আমার ছেলেমেয়রা এখান থেকে পড়াশোনা করে, এখানকার জ্ঞান লব্ধ করে নিজেকে আলোকিত করবে; নিজেকে আলোর মশাল হিসেবে গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছিলেন; মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রতিক দিয়েছিলেন। শোকাবহ ও মর্মান্তিক ৭৫ পরবর্তী আমার এলাকায় কেউ নৌকার কান্ডারি হতে পারেন নাই। আমি হতে পেরেছিলাম সেই কান্ডারী। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া, অনেক গৌরবের। এসময় তিনি সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলেন এবং সামনেও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মাহফুজুল হক লেলিন বলেন, মানুষকে উৎসাহিত করার সাথে সাথে নিজেকে উন্নত করে গড়ে তুলতে হবে। সবার আগে নিজেকে উন্নত করতে হবে। তোমাকে যেন মুখ দিয়ে সবকিছু বলতে না হয়। আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষের কিছু ভুল থাকে এগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
জলঢাকা রাবেয়া চৌধুরি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মহন্ত বলেন, জলছাপের মিলনমেলা আসতে পেরে আমি খুব আনন্দিত, উদ্বেলিত। জলঢাকার আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এখন শুধু সামনে যাওয়ার পালা।
মীরগঞ্জ হাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, আমার মতো একজন মানুষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে বসে কথা বলার সুয়োগ হওয়ায় জন্মের সাধ পূরণ হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানে এসে যে মেধার পরিচয় দিয়েছে এটাকে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। নিজের এলাকা ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি গ্রাম থেকে কিভাবে আরও বেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পায় তার দিক নির্দেশনা দেন।
জলছাপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, জলছাপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনগুলো থেকে অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে। অন্যান্য সংগঠনে যে কোন্দল আমরা দেখি, তা আমাদের মাঝে নেই। সংগঠনের গঠনতন্ত্রই সংগঠন চালায়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জলছাপের সাবেক ও বর্তমান সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।