ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মাঠে বাদ্যর তাল আর অভিনেতার কারুকার্যে সুশোভিত হয়ে উঠেছিলো ছাত্রলীগের ইতিহাসের ধারাবিবরণী। ১৯৪৮ সালের প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে শুরু হয়ে চলে আসে বর্তমান প্রজন্ম পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল টিএসসিতে ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাঙালির ইতিহাস’ শীর্ষক থিয়েট্রিকাল পরিবেশনা উপস্থাপনা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশনায় এ পরিবেশনা মঞ্চায়িত হয়।
পরিবেশনায় ১৯৪৮ সালের ছাত্রলীগের যাত্রার পর থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণ অভ্যূত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ ছাত্রলীগের ছড়াই উৎরাই পেরোনোর গল্প তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে একক ম্যান্ডেট দিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরী করবো।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, জানুয়ারি মাসের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে, সেটা ময়মনসিংহ পাঁচেই হোক, পঞ্চগড়ের শেষ মাথায়, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হোক, টেকনাফ-তেতুলিয়া, রুপসা-পাথুরিয়া ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের প্রতি ইঞ্চিতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে তবেই আমরা ক্ষান্ত হবো।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের প্রতিটা কর্মী মনে করে, বাংলাদেশ কোন সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে নেই। বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ অসাম্প্রদায়িক। একজন শিক্ষার্থী অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক, উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধের সম্পন্ন হবে। আমরা সে পরিস্থিতি থিয়েট্রিকাল পরিবেশনায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা ছাত্রলীগের কর্মীরা বেঁচে থাকতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দিবে না। এই উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনই হবে সবচেয়ে কঠোর আঘাত। আমরা সে চর্চা শুরু করতে যাচ্ছি।