ভর্তির পরের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে অঙ্কিতা বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পরও পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য যে প্রতিকূল পরিবেশ ছিল, এখানেও সেরকম পরিবেশ থাকে কি না এবং কোর্স ফি দিতে পারি কি না এসব নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। এ বিষয়ে কথা বলতে আমি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা করি। এরপর উপাচার্য স্যার আমাকে কোর্স ফি মওকুফ করে স্কলারশিপ এ পড়ার ব্যবস্থা করে দেন।’
অঙ্কিতা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ হয়ে গেছে, কিন্তু এ পর্যন্ত ট্রান্সজেন্ডার আইডেন্টি নিয়ে কেউ কোনো ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু আমি পরীক্ষা দিতে পেরেছি এবং অবশেষে ভর্তি হয়েছি। এটা আমার জন্য এবং আমার যে কমিউনিটি আছে তাদের জন্য খুব ইতিবাচক দিক বলে আমি মনে করি। এটা আসলে ভাবার সময় এসে গেছে যে, যে যাই করুক না কেন, কারও যোগ্যতা থাকলে কোনো কাজে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়। এভাবে প্রতিটি জায়গায় আমাদেরকে সুযোগ দেওয়ার কারণে আমরা সম্পদে পরিণত হতে পারি। দেশের বোঝা না হয়ে সামগ্রিকভাবে আমরাও দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারি।’
অঙ্কিতাকে ঢাবিতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরকে যে সুযোগটা করে দিয়েছে তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। এটা দেখে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও বিষয়টা বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করি।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অঙ্কিতা বলেন, ‘আমি আরও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চাই। শিক্ষা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। আর শিক্ষা অর্জন করে আমার কমিউনিটি এবং যারা যারা অধিকার বঞ্চিত মানুষ আছে, তাদের জন্য কাজ করতে চাই।’