জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল ও পুত্রবধূ সুলতানা কামালের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ‘শেখ কামাল-সুলতান কামাল ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে।
এই ফান্ড গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের গঠন করা এই ফান্ড থেকে অনুষদের কৃতী শিক্ষার্থী ও ক্রীড়ায় যারা এগিয়ে থাকবে, তাদের বৃত্তি দেয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপাচার্য আখতারুজ্জামান ছিলেন প্রধান অতিথি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত শেখ কামাল ও সুলতানা কামালের পরিবারের পক্ষ থেকে শেখ কবির হোসেন ও গোলাম আহমেদ টিটো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এই ধরনের ট্রাস্ট ফান্ড শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে তা নয়, বরং শেখ কামাল ও সুলতানা কামালের জীবনের যে মূল্যবোধ রয়েছে, তা আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো করে জানার সুযোগ করে দেবে।’
তিনি বলেন, শেখ কামাল একাধারে ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষামূলক নানা কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিজের পড়ালেখায় কৃতিত্বের অবদান রেখেছেন যা তার কাজের ক্ষেত্রে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে।
শেখ কামাল ও সুলতানা কামালের মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করতে তাগিদ দেন।
শেখ কামালের চাচা শেখ কবির হোসেন বলেন, এই ট্রাস্ট ফান্ড ইতিহাস হয়ে থাকবে। এটা শুধু বৃত্তি প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এই ফান্ড ভূমিকা রাখবে। এটার প্রসার হবে, মানুষ উপকৃত হবে। এর মাধ্যমে শেখ কামালের আদর্শ চর্চা হবে।
তিনি বলেন, ‘কামালের আদর্শ শুধু খেলাধুলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, সে খেলাধুলায় যেমন ছিল, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তেমন ছিল। সবকিছুতেই তার সম্পৃক্ততা ছিল।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘শেখ কামাল ও সুলতানা কামাল অত্যন্ত মেধাবী ও বহুমুখী প্রতিভার ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তারা আমাদের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের একটা দায় ছিল যে, এই ধরনের একটা উদ্যোগ নেওয়া। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা তাদের বারবার স্মরণ করতে পারব।’